Monday, February 20, 2017

International Mother Language Day-2017(আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস)

আজ ২১ ফেব্রুয়ারী অমর একুশেমহান শহীদ দিবস ১৯৫২ থেকে ২০১৭ সাল। সুদীর্ঘ পথ চলা।২১শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন।  ইহা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও এখন পরিচিত। বাংলা ভাষার সম-মর্যাদার দাবিতে পূর্ব পাকিস্তানে আন্দোলন দ্রুত দানা বেঁধে ওঠে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে ঢাকা শহরে সমাবেশ-মিছিল ইত্যাদি বে-আইনী ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।
১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি (৮ ফাল্গুন ১৩৫৮) এ আদেশ অমান্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বহু সংখ্যক ছাত্র ও প্রগতিশীল কিছু রাজনৈতিক কর্মী মিলে মিছিল শুরু করেন। মিছিলটি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের কাছাকাছি এলে পুলিশ ১৪৪ ধারা অবমাননার অজুহাতে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। গুলিতে নিহত হন রফিক,সালামবরকতজব্বার, শফিউর, অহিদুল্লাহ  সহ আরও অনেকে। শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়ে ওঠে। শোকাবহ এ ঘটনার অভিঘাতে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
সেজন্য  প্রতি বছরই  এই একুশে ফেব্রুয়ারি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে শহিদ দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে। মায়ের ভাষাকে রক্ষা করতে  বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে এ জাতি। এ অধিকার একটা জাতি লাভ করে স্বয়ং স্রষ্টা থেকেতাইতো মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাইদী সাহেব এক বক্তিতায় বলেছেন একুশে ফেব্রুয়ারি পালন করা জরুরী এবং বাংলা ভাষা আল্লাহপাক এর দান। ভাষার জন্য জীবন দান এ বিরল আত্মত্যাগকে সম্মান জানাতে ইউনেস্কো ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।ইউনেস্কোর ঘোষণায় বলা হয়- 21 February is proclaimed international mother language day througout the world to commemorate the martyrs who sacrificed their lives on this day in 1952. এখন তাই প্রতিবছর এই দিনটি বিশ্বের ১৮৮টি দেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় বলতে গেলে এটা এখন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড হয়ে গেছে। পৃথিবীতে বাংলাদেশই একটিমাত্র  দেশ  যারা নিজেদের ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছেন। বাংলা  ভাষাকে রক্ষা করেছেন ভাষার জন্য যারা আজ থেকে ৬৫ বছর আগে একুশে ফেব্রুয়ারিতে প্রাণ দিয়েছেন তাদের নাম যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন অমর হয়ে থাকবে এই বিশ্বব্রম্মান্ডে। আমি গর্বিত যে আমার পাশের গ্রাম বলধারা ইউনিয়নের পাড়িলের রফিক নগর গ্রামে   জন্মেছিলেন  বীর শহীদ রফিক সাহেব। রফিক উদ্দিন ১৯২৬ সালের ৩০ শে অক্টোবর জন্ম গ্রহণ করেন ২১শে ফেব্রুয়ারি১৯৫২ সালে ঢাকায় মৃত্যু বরণ করেন।   রফিক উদ্দিনের পিতার নাম আবদুল লতিফ ও মাতার নাম রাফিজা খাতুন। তাঁর পিতা আবদুল লতিফ ছিলেন ব্যবসায়ী, কলকাতায় ব্যবসা করতেন।রফিকরা ছিল পাঁচ ভাই ও দুই বোন। ভাইদের মধ্যে রফিক ছিল সবার বড়। চার ভাই, আবদুর রশীদ (১৯৩১-১৯৮৭) আবদুল খালেক (১৯৩৪), বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম (১৯৪৩-১৯৭২), খোরশেদ আলম (১৯৪৭) এবং বোন আলেয়া বেগম (১৯৩৮) জাহানারা বেগম (১৯৪৫)। রফিক ছিল পিতা-মাতার প্রথম সন্তান। শৈশবে গ্রামের স্কুলেই তিনি লেখাপড়া করেন।  তার নামানুসারেই গ্রামটির নাম রাখা হয়েছে রফিক নগর।এখানে শহীদ রফিকের নামে একটি স্মৃতি যাদুঘররয়েছে। প্রতিবছরই  একুশে ফেব্রুয়ারীতে এখানে মেলা বসে। মেলায় হাজার হাজার নারী পুরুষের ঢল নামে।আমাদের মানিগঞ্জ শহরের মেইন  রাস্তাটিও শহীদ রফিকের নামেই শহীদ রফিক সড়ক রাখা হয়েছে।
মহান ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ দিন ভোরে সর্বস্তরের মানুষ খালি পায়ে  অংশগ্রহণ করে  এবং শহীদ মিনারে গিয়ে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে। দোয়েল চত্বর, চানখাঁরপুল, টিএসসি, পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। সারাদিন মানুষ শোকের চিহ্নস্বরূপ কালো ব্যাজ ধারণ করে। এছাড়া আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান  হয়ে থাকে।ভাষা আন্দোলনের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করা হয়।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেসরকারি  টেলিভিশন সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দিবসটির তাৎপর্য্য তুলে ধরা হয়। দৈনিক সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে। বাংলা একাডেমী প্রাঙ্গনে আয়োজিত অমর একুশে গ্রন্থমেলা অনুষ্ঠিত হয় পুরো ফেব্রুয়ারি মাস ব্যাপী সরকার বাংলা ভাষা আন্দোলনকে ঘিরে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের একুশে পদক প্রদান করে থাকে
একুশ নিয়ে আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি গানটি লিখেন আবদুল গাফফার চৌধুরী গানটিতে প্রথমে সুরারোপ করেন আব্দুল লতিফ পরবর্তিতে আলতাফ মাহমুদ আবার নতুন করে সুরারোপ করেন। সেই থেকে ওটা হয়ে যায় একুশের  গান। বর্তমানে আলতাফ মাহমুদের সুর করা গানটিই গাওয়া হয়। জহির রায়হান তাঁর জীবন থেকে নেয়া সিনেমায় এ গানটি ব্যবহার করার পর এর জনপ্রিয়তা  আরো বেরে যায়। এ গানটি সুইডিশ এবং জাপানি ভাষায় অনুবাদও হয়েছে। সেখানে তারাও গায় এই গানটি।
 ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের অহংকার। আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ধারক।এটাকে বাঙালি ভুলে থাকতে পারে না

সবশেষে বলতে চাই বিভিন্ন ভাষা শিক্ষালাভ করা চর্চা করা দূষের কিছু নয়তাতে জ্ঞান বাড়েকিন্তু  নিজের মাতৃভাষাকে বাদ দিয়ে নয়নিজের মাতৃভাষা সঠিক ও শুদ্ধভাবে  প্রয়োগ-ব্যবহার-অনুশীলন করা প্রয়োজন সবার আগেপ্রত্যাশা রাখি আমরা সবাই শুদ্ধ ভাবে বাংলা উচচারণে কথা বলবো, নিজের সন্তানদের শুদ্ধ বাংলা শিক্ষা দিব আমরা সবাই গুড মর্নিং  না বলে শুভ সকাল- শুভ সন্ধ্যা-শুভ রাত্রি এভাবে বলতে অভ্যস্ত হবো ধন্যবাদ সবাইকে শুভ সকাল হে মহান শহীদ দিবস

ফজলুর রহমান, সৌদি আরব।
Cell Phone:00966534580722 
Email: frahmanapple@yahoo.com
Twitter:@Frahmantwittman

Sunday, February 12, 2017

Spring Season Present in Bangladesh (বসন্তকাল)-2017

……”পেরি উইংকেল মেলে দিল আজ ডানা
        বসন্তে আসে ফুলেরা জেগেছে
        মানা আর শুনিবে না
আজ পহেলা ফাল্গুন।বাংলায় বসন্তের আগমনআজি বসন্ত জাগ্রত দ্বারেসুভাষ মুখোপাধ্যায় চমৎকার করে বলেছেন- ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত। শ্রদ্ধেয় শিল্পী রুনা লায়লা কুরবানী বাংলা ছবিতে গানও গেয়েছেন-“ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ আমার বসন্ত। তবে ফুল ফুটেছে প্রচন্ড ভাবে।ফাগুনের আগুন লেগেছে শিমুলে-পলাশে, কৃষ্ণচূড়া আর রাধাচূড়ায় চামেলী-রক্ত করবী পুষ্পেরা প্রস্ফটিত আপন মহিমায়প্রকৃতি সেজেছে নয়া সাজেও পলাশ ও শিমুল কেন এ মন মোর রাঙালেলতা মঙ্গেশকারের গান শুনতে কার না ভাল লাগে?  শাহ আব্দুল করিমের বন্ধুর বাড়ির ফুলের গন্ধ আমার বাড়ি আসে..সই গো, বসন্ত বাতাসে” গান শ্রবণে আজ প্রাণ জুড়িয়ে যায়। কোকিল-কোয়েল-দোয়েল, পাপিয়া-ফিঙ্গে-শ্যামা, বক-বুলবুলি-বটের- মানিকজোড়-শালিক-ঘুঘু- মাতোয়ারা আজ বসন্ত বাতাসে
কবিগুরু রবী ঠাকুর লিখেছেন তার ফাল্গুন কবিতায়,
            “ফাল্গুনে বিকশিত কাঞ্চন ফুল
         ডালে ডালে পুঞ্জিত আম্রমুকুল
 প্রেমের কবি কাজী নজরুল ইসলাম লিখেছেন,
        এলো বনান্তে পাগল
              বনে বনে মনে মনে রং সে ছড়ায় রে,চঞ্চল তরুণ দুরন্ত।
    বাঁশীতে বাজায় সে বিধুর পরজ বসন্তের সুর
এই কবিতাটি একটি নজরুল সংগীতও বটে। শ্রদ্ধেয় ফেরদৌসী রহমান চমৎকার গেয়েছেন এ গানটি।
পশ্চিমবঙ্গের শিল্পী সাগর সেনের গাওয়া রবীন্দ্রসংগীত- আহা আজি বসন্তে এত ফুল ফুটে এত পাখি গায়” এবং মধুর বসন্ত এসেছে মধুর মিলন ঘটাতে  গানটি দুটি বসন্তের জন্য রবী ঠাকুরের অমর সৃষ্টি।
শীত শেষে  বসন্তের সানাই বাজে শীতে খসে পরা  পত্র-পল্লবের  সজীবতায় প্রকৃতিতে আজ সাজ সাজ রব।যেন আজ  প্রকৃতির বাসর ঘর ঘনিয়ে আসছে।তাই আজ বক্ষ-লতা- ফুল-পাখি সবার হৃদয় আজ মুখরিত। তাইতো রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশ লিখেছেন,
বসন্তের রাতে, যেমন দেখি ...
সবিতা, মানুষ জন্ম আমরা পেয়েছি
মনে হয় কোন এক বসন্তের রাতে
 আবার গুণী কবি নির্মলেন্দু গুণ বসন্ত বন্দনা কবিতায়  লিখেছেন,
হয়তো ফুটেনি ফুল রবীন্দ্রসঙ্গীতে যত আছে,হয়তো গাহেনি পাখি অন্তর উদাস করা সুরেবনের কুসুমগুলি ঘিরে। আকাশে মেলিয়া আঁখিতবুও ফুটেছে জবা,—দূরন্ত শিমুল গাছে গাছে,তার তলে ভালোবেসে বসে আছে বসন্ত পথিক।

বসন্ত সবার জীবনে নেমে আসুক অনাবিল শান্তি-স্বস্তি এবং সমৃদ্ধি। সবার জীবন মধুময় হোক, ফুলে ফলে ভরে উঠুক প্রেমিক-প্রেমিকাদের দাম্পত্য জীবন। সেই শুভ কামণায় সবাইকে বসন্তের শুভেচ্ছা জানিয়ে যবনিকাপাত।


---- ডাঃ ফজলুর রহমান, সৌদি আরব।
Cell Phone:00966534580722
Email: frahmanapple@yahoo.com
Twitter: Fazlur Rahman@Frahmantwittman

Wednesday, February 1, 2017

Mark Elliot Zuckerberg (ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা “মার্ক জাকারবার্গ” )

মার্ক এলিয়ট জাকারবার্গ।বেশী পরিচিতি মার্ক জাকারবার্গনামে তিনি নিজে একজন কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও সফটওয়্যার ডেভেলপারতিনি ফেসবুকের জনকতিনি নিজেই ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেই সাথে প্রেসিডেন্ট।জাকারবার্গ জন্মগ্রহন করেন ১৯৮৪ সালের ১৪ মে মাসে নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন নামক স্থানে পিতার নাম এডওয়ার্ড জাকারবার্গমাতা ক্যারেনপিতা-মাতা দুজনই ডাক্তার। মা মানসিক রোগের ও বাবা দাঁতের ডাক্তার।
সময়টা ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস জাকারবার্গ তখন হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটিতে পড়াশোনা করেন। সেই সময় বন্ধুদের সাথে নিয়ে তৈরী করেন ফেইসবুক সেই থেকে শুরু। চলছে তো চলছেই। সারা বিশ্বে প্রতি মাসে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৮০ বিলিয়ন। বর্তমানে জাকারবার্গের সম্পদের পরিমান পাঁচ বিলিয়ন ডলারের উপরে।
প্রথম দিকে হার্ভাডের ছাত্র-ছাত্রীরাই শুধু ইহা ব্যবহার করতোতখন নামটা ছিলো “The photo address book” ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের নাম, ডকোমেন্টস,কন্টাক্ট নং,  এসব এখানে  লিখে রাখতো।অতপরঃ স্টুডেন্ট্রা এর নতুন নাম দিল “The Face Book” সব শেষে  The শব্দটা বাদ দিয়ে  নামটা হল Facebook.