Saturday, December 31, 2016

Welcome Happy New Year 2017( “স্বাগতম ২০১৭ সাল”)

আজ পহেলা জানুয়ারী শুভ ইংরেজী নববর্ষ। শুভ ২০১৭ খ্রীষ্টাব্দ কালের গর্ভে চলে গেল আরও একটি বছরপঞ্জিকার পাতা থেকে খসে পড়ল আরও একটি পুরাতন সন সূচনা হল একটি নতুন বছরগুডবাই ২০১৬ সালস্বাগত হে নয়া সাল! বলা হয়ে থাকে Time and Tide wait for none” 

সময় এবং নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে নাতাইতো প্রকৃতির অমোঘ বিধান যে, দিনের পর-মাস যাবে-বছর যাবে-যুগ যাবে-শতাব্দী চলে যাবে এভাবেইসময়কে কে রুখতে পারে? কার সাধ্য আছে সময়কে আটকে রাখে? হিসেব করলে দেখা যায় এক সেকেণ্ডকে যদি এক হাজার ভাগে ভাগ করা হয় রেজাল্ট আসবে এক মিলিসেকেন্ডতার মানে ১০০০ মিলি সেকন্ডে সেকেন্ডআর ৬০ সেকেন্ডে এক মিনিটযদি এক মিনিটে ষাট সেকেন্ড হয় তাহলে ঘন্টায়  হয় ৩৬০০ সেকেন্ডএকদিনে আসে ৮৬৪০০ সেকেন্ডএক মাসে হয় ২৬২৮০০০ সেকেন্ড এবং এক বছরে হয় ৩১৫৩৬০০০ সেকেন্ডসংখ্যাটি আসলেই মস্ত বড় বা বেশ প্রকান্ড রকমের বিগ সাইজপ্রকৃতির এমনই খেলা এত বড় সাইজের যে সময়ের একক এটাও ধীরে ধীরে একদিন শেষ হয়ে যায়তাহলে ৩১৫৩৬০০০ সেকেন্ডর একটি বৎসর পৃথিবী হাড়ালোআমাদের সামনে হাতছানি  নতুন আরেকটি বছরের
অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে গিয়ে  নতুন করে শান্তির সুবাতাস ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপন হোক নতুন বছরসমাজে জ্বলে উঠুক মঙ্গল-দ্বীপসমাজ হয়ে উঠুক সু-শিক্ষায় আলোকিত

আমাদের জাতীয় জীবনে নতুন বছর বয়ে আনুক অনাবিল শান্তি,সমৃদ্ধিধুয়ে যাক পুরনো বেদনা,নস্টা রাজনীতিবাংলাদেশ হয়ে উঠুক সমৃদ্ধশালী এই হোক নতু্ন বছরের প্রত্যাশা সবাইকে  ইংরেজী নতুন বছরের শুভেচ্ছা

Tuesday, December 20, 2016

সাদা শামুক যা শুধু জলে নয় স্থলেও বাস করে।

Thursday, December 15, 2016

আজ মহান বিজয় দিবস-২০১৬ (Victory Day of Bangladesh- 2016)

আজ ১৬ই ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। দিনটি জাতির জন্য পরম গৌরবের। দীর্ঘ  নয় মাস( ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ  রাত থেকে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত) রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে ১৬ই ডিসেম্বর-১৯৭১ সনে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে(রেসকোর্স  ময়দানে)পাকিস্তানী বাহিনীর (৯১,৬৩৪ জন সৈন্য) বাংলাদেশ-ভারতের যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজিতিনি আত্মসমর্পণ করেন বাংলাদেশ-ভারতের যৌথবাহিনীর প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরার কাছে স্বাধীন হয় বাংলাদেশসৃষ্টি হয় বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র আর এই বিজয়ের মহানায়ক হিসাবে যিনি ইতিহাসের পাতায় চির স্মরণীয় হয়ে আছেন তিনি হলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মানেই স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু মানেই আমাদের অস্তিত্ব।১৯৭১ সালের ২৫মার্চ রাত ১২টার পর ( ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন যাহা চট্টগ্রামে  সে সময়ের EPR  ট্রান্সমিটারে প্রচার করার জন্য পাঠানো হয় 
 ঘোষণাটি ছিল এরকমঃ-
টাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।
এ ঘোষণার পর পরই  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন।
এর পরই আসলে  দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধ করে  ১৬ই ডিসেম্বর-১৯৭১ সালে  সোহরাওয়ার্দী  ময়দানে পাকিস্তানী বাহিনী আত্মসমর্পণ করে। পাকিস্তানীরা  আত্মসমর্পণের আগে যে দলিলে  সই করেছিল তার
স্টেটম্যান ছিল ঠিক এই রকমঃ-
The Pakistan eastern command agree to surrender all Pakistan armed forces in Bangladesh to Lieutenant General Jagjit Singh Aurora General, officer-commanding in chief of the Indian and Bangladesh forces in the eastern theatre, This surrender includes all Pakistan land, air and naval forces and civil armed forces. They are currently located to the nearest regular troops under the command of Lieutenant General Jagjit singh.
The Pakistan eastern command shall come under orders of Lieutenant-General Jagjit Singh Aurora as soon as this instrument has been signed, Disobedience of orders will be regarded as breach of the surrender terms and will be dealt with in accordance with the accepted laws and usages of war. The decision of Lieutenant General Jagjit Singh Aurora will be final, should any doubt arise as to the meaning or interpretation of surrender terms.
Lieutenant General Jagjit Singh Aurora gives a solemn assurance that personnels who surrender shall be treated with dignity and respect that soldiers are entitled to in accordance with provisions of the Geneva Convention and guarantees the safety and well-being of all Pakistan military and para-military forces who surrenders, protection will be provided to foreign nationals, ethnic minorities and personnels of West Pakistan origin by the forces under the command of Lieutenant General Jagjit singh Aurora.
১৬ই ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে নিঃশেষ হয়েছিল  বর্বর  পাকিস্তানী গোষ্ঠীর শোষণ-বঞ্চনা-জুলুম-নির্যাতনআবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবার চোখে ঠাঁই পেয়েছিল সীমাহীন আনন্দের অশ্রু। বিজয়ের অনুভূতির ঝিলিক। সেই মুহূর্তের অনুভূতি ভাষার প্রকাশ করা দুরহ ব্যাপার।এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছিল সেই  বিজয়মুক্তিপাগল বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে স্বাধীনতার সূর্য ছিনিয়ে এনেছিলো সেদিন 
আজ রাত ১২:১ মিনিটে  ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের সূচনা হয়।সরকারি অফিস আদালত আজ  ছুটির দিন। সারা দেশ ছেয়ে যাবে    জাতীয় পতাকা উত্তোলনেলোকে লোকারন্য হয়ে যাবে  সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ, রায়ের বাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ এবং মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ সরকারের  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

বাংলাদেশ একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত হোক এটাই বিজয় দিবসে আমাদের সকলের প্রত্যাশা
জয় বাংলা।

Fazlur Rahman
+966534580722|+966562998047|
Email:frahmanapple@yahoo.com|
Twitter:@Frahmantwittman|
www.fazlupedia.blogspot.com|Skype:frahman67 


Saturday, November 26, 2016

"ফিদেল ক্যাস্ট্রো ছিলেন বিশ্বের একজন মহান নেতা" ( Fidel Castro was a Great Leader in the world)

যদি বলি কোন দেশের নাম লিখতে ইংরেজী প্রথম ABC তিনটি অক্ষরই প্রয়োজন হয় তাহলে বলতে হবে সে দেশটির নাম কিউবা। হাঁ কিউবার (CUBA) সাবেক প্রধানমন্ত্রী ফিদেল কাস্ট্রোর (“Fidel Castro”) কথাই আজকের প্রসঙ্গ। ফিদেল কাস্ত্রোর ১৯২৬ সালের ১৩ই আগস্ট কিউবার পূর্বাঞ্চলে বিরান জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন স্প্যানিশ বংশোদ্ভুত । ফিদেল কাস্ট্রো ১৯৫৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত কিউবার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এবং এরপর ফেব্রুয়ারি ২০০৮ সালের আগ পর্যন্ত কিউবার মন্ত্রী পরিষদের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ২০০৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি তিনি কিউবার প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করেন।তিনি হাভানা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছিলেন।তার মত মহান বিপ্লবী নেতা সারা বিশ্বে খুব কমই আছে। বিংশ শতাব্দির মহানায়ক, সমাজতন্ত্রী বিপ্লবী কিউবান রাজনৈতিক দলের নেতা ফিদেল কাস্ত্রো। তার শাসনের সময় কিউবাকে তিনি উপহার দিয়েছেন চমৎকার শিক্ষার হার, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা সে কারণেই পৃথিবীর অনেক দেশ তাকে ঈর্ষার চোখে দেখেছে। তার উন্নতি, উন্নত শাসন ব্যবস্থা বিশ্বের অনেকে দেশই সইতে পারেনি।
আমেরিকার সাথে ছিল তার জনম জনমের দুশমনী। ল্যাটিন আমেরিকায় মার্কিন প্রভাব-আাধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ফিদেল কাস্ট্রো সারা জীবন। যে কারণে কাস্ট্রোকে বহুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। বহু বাধা বিপত্তির মুখে অটল থেকেছেন আজীবন। ফিদেল কাস্ত্রোকে ৬৩৮ বার হত্যার চেষ্টা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু সবাইকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কিউবার শাসন ক্ষমতায় ছিলেন পাকাপুক্ত ভাবে ফিদেল কাস্ট্রো। তাকে অনেকবার জেলে যেতে হয়েছে।অন্যায়ভাবে তাকে জেলে দিলেও রাখতে পারেনি। সাধারণ ক্ষমার মাধ্যমে ১৯৫৫ সালের মে মাসে জেল থেকে বেরিয়ে এসেছেন তিনি। কারণ কাস্ত্রো ছিলেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে।
কাস্ট্রোকে হত্যার জন্য মার্কিন সিআইএ তাঁর চুরুটের মধ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য রেখেছিল। সেই চুরুটের মধ্যে যে পরিমাণ বিস্ফোরক দ্রব্য রাখা হয়েছিল তাতে তাঁর মাথা উড়ে যেতে পারতো। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছিল।তাঁর খানার মধ্যেও বিষ দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। তাঁর ব্যবহৃত কলমে বিষযুক্ত সুঁচ রেখে ও পোশাকে জীবাণু ঢেলে রেখে তাঁকে হত্যার চেষ্টা চালায় মার্কিন প্রশাসন। তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী মিরতাকেদিয়ে বিষাক্ত ক্যাপসুল প্রয়োগে কাস্ট্রোকে হত্যার চেষ্টা চালায় সিআইএ। কিন্তু সেখানেও মার্কিন সিআইএ এবং স্ত্রী মিরতা বিফল হয়েছে।বলা হয়ে থাকে রাখে আল্লাহ্‌ মারে কে
বাংলাদেশের সাথেও ছিল ফিদেল কাস্ট্রোর ছিল ভীষণ সু-সম্পর্ক। ১৯৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সমর্থন দিয়েছিল ফিদেল কাস্ট্রো। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সাথে ছিল তার চরম বন্ধুত্ব। সে কারনেই ১৯৭৪ সালের জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের সভায় আলজেরিয়ায় কিউবার মহান নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সঙ্গে বৈঠক হয় বঙ্গবন্ধুর। সেখানে প্রথম দেখে ফিদেল কাস্ট্রো বলেছিলেন, "I have not seen the Himalayas. But I have seen Sheikh Mujib. In personality and in courage, this man is the Himalayas. I have thus had the experience of witnessing the Himalayas." (“আমি হিমালয় দেখিনি। তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি হিমালয়ের সমান। এভাবে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতাই লাভ করলাম।)

আজ ২৬/১১/২০১৬ সকালে সি.এন.এন থেকে এক নোটিফিকেশন পেলাম ফিদেল কাস্ত্রো মারা গেছেন। ফিদেল কাস্ট্রো কিউবার স্থানীয় সময় গতকাল ২৫/১১/২০১৬ শুক্রবার রাতে হাভানায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বাংলাদেশের জন্গণ আজীবন স্মরণ রাখবে এই অকৃতিম বন্ধু ফিদেল কাস্ট্রোকে।

Thursday, November 24, 2016

"একজন সৈয়দ শামসুল হক" ( A Syed Shamsul Haque )

একজন  সৈয়দ শামসুল হক একজন  বিশিষ্ট সাহিত্যিক, কবি, উপন্যাসিক, নাট্যকার, এক কথায় বহুমাত্রিক লেখক  আরেক উপাধি তিনি সব্যসাচী লেখকসৈয়দ শামসুল হকের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭শে ডিসেম্বর কুড়িগ্রামে । জনাব শামসুল হক ১৯৫০ সালে গণিতে লেটার মার্কস নিয়ে ম্যাট্রিক করেন তারপর বাড়ীতে কাউকে  না বলে ১৯৫১ সালে  বম্বে পালিয়ে যান। সেখানে এক বছরের মত এক ফিল্ম প্রডাকশন হাউসে সহকারী হিসেবে কাজ করেন ১৯৫২ সালে  দেশে চলে আসেন এবং জগ্ননাথ কলেজে মানবিক শাখায় ভর্তি হনকলেজ পাসের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি শাখায়  ভর্তি হন ১৯৫৪ সালেঅতপর স্নাতক পাসের আগেই ১৯৫৬ সালে পড়াশোনা অসমাপ্ত রেখে সেখান থেকে বেরিয়ে যান তিনি প্রখ্যাত লেখিকা ও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হকের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
সৈয়দ শামসুল হক বেশ কিছু সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেন।" ক খ গ ঘ ঙ" “বড় ভাল লোক ছিল” এসব  বিখ্যাত সিনেমার কাহিনী  তাঁরই লেখা।এই সিনেমার  জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। তিনি কিছুকাল  লন্ডনে  বিবিসির বাংলা খবর পাঠক ছিলেন। ১৯৭১ সালে  ১৬ই ডিসেম্বরে পাকিস্তানী বাহিনী যখন আত্মসর্মপণ করে সেই সংবাদটিও পাঠ করেছিলেন। তিনি বিবিসির বাংলা প্রযোজক হিসেবে কাজ  করেন ছয় বৎসর। সৈয়দ হকের জীবনের প্রথম কবিতা ১১/১২ বছর বয়সে লেখা "আমার ঘরে জানালার পাশে গাছ রহিয়াছে/ তাহার উপরে দুটি লাল পাখি বসিয়া আছে" এবং জীবনের শেষ কবিতা রচনা করেন হাসপাতাল বেডে।সে কবিতার নাম- “আহা, আজ কি আনন্দ অপার এই কবিতাটি  তিনি লেখেন  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে সৈয়দ হকের রচিত বেশ কিছু বই পড়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছে।তাঁর লেখা উপন্যাস “খেলারাম খেলে যা” সহ  বেশ কিছু বই আমার সংগ্রহেও আছে। পড়তে ভাল লাগে ভীষণভাবে তাঁর বইয়ের সংখ্যা দুই শতাধিক হবে তিনি সাহিত‌্যের সকল ক্ষেত্রে বিচরণ করেছেন। ছোটগল্প, কবিতা, উপন্যাস, কাব্যনাট্য, শিশুসাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ কি না লিখেছেন তিনি।সৈয়দ শামসুল হক স্বাধীনতা পুরস্কার সহ একুশে পদক ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন।
সৈয়দ শামসুল হকের বেশ কিছু গান বাংলার সংগীত জগৎকে সমৃদ্ধ করেছে। যেমন ফেরদৌসী রহমানের গাওয়া একটি  চমৎকার গান “যার ছায়া পড়েছে মনেরও আয়নাতে, সে কি তুমি নও, ওগো তুমি নও” এ গানটি লিখেছেন জবাব সৈয়দ হক।বড় ভালো লোক ছিলো” সিনেমার দুটি গান- “হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস দম ফুরাইলে ঠুস” এবং “তোরা দেখ দেখ দেখরে চাহিয়া, রাস্তা দিয়া হাঁইটা চলে রাস্তা হারাইয়া তারপর রুনা লায়লার কন্ঠে চমকা একটি গান “পাগল পাগল মানুষগুলো পাগল সারা দুনিয়া, কেহ পাগল রূপ দেখিয়া, কেহ পাগল শুনিয়া”  বশীর আহমেদের গাওয়া সেই বিখ্যাত গান- অনেক সাধের ময়না আমার বাঁধন কেটে যায়” এসব কালজয়ী গানগুলি   সৈয়দ শামসুল হকেই লিখেছিলেন। তাঁর সকল  সৃষ্টি অমর। এছাড়া  সৈয়দ হকের বিখ্যাত উপন্যাস নিষিদ্ধ লোবান” অবলম্বনে তৈরী হয়েছে “গেরিলা” সিনেমাটি যাহা জনাব নাসিরউদ্দীন ইউসুফ(বাচচু) পরিচালনা করেছেন।

সৈয়দ শামসুল হক ২০১৬ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর  ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।