ষড়ঋতুর শ্রেষ্ঠতম দেশ বাংলা মায়ে এখন শরৎ এর শেষ সন্ধ্যা। আশ্বিনের বাকি কেবল দু’দিন। বিদায় শরৎ। সু-স্বাগত হেমন্ত। সাধারণতঃ কার্তিক-অগ্রহায়ণ দু’মাস (মধ্য-অক্টোবর থেকে মধ্য-ডিসেম্বর) হেমন্তকাল। হেমন্তের নবান্ন উৎসবের পরশ লাগবে গ্রামীণ জনপদে তথা বাংলার ঘরে ঘরে। হেমন্তের চাঁদনি রাত ভারি চমৎকার। আকাশে বারে বারে ছোটে যাওয়া তারা এক অপূর্ব দৃশ্য। যেন খসে পরা মুক্তো-মানিক। জ্যোৎস্নাসাত নিশিরাতে রাত জাগা চাঁদ মামা যেন বাংলার সৌন্দর্য প্রকৃতি দেখে খুশিতে আত্মহারা। সোনালি ধানের শীষে বাতাসের হিল্লোল সে কি ভুলা যায়? ভীষণ মজার সে খেলা। মিষ্টি গন্ধভড়া মাঠের ফসল কে না দেখতে চায়? হালকা শিশির মাখা ঘাস মুক্তো-দানার দ্যুতি।হেমন্তের পাগল করা রূপ-রস-বর্ণ-গন্ধ বড়ই বৈচিত্রময় বাংলার ঐতিহ্য। কি আমার দেশ!! হায় রে কি আমার বাংলা!! সেতো “আমার সোনার বাংলা”। বার বার ফিরে পেতে চায় মন বাংলার প্রতিচ্ছবি। আমাকে বার বার মুগ্ধ করে শ্রদ্ধেয় শিল্পী শাহ্নাজ রহ্মতুল্লার সেই গানের কলি--- "একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয় "............। অথবা “মন যদি চায় যেথা হারিয়ে, এস দু"জনাতে যাই এক সাথে, মাঠ-ঘাট-প্রান্তর ছাড়িয়ে, মন যদি চায়”……… ।গানটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। শুনেছি গানটি শত-সহস্র রজনী জেগে। সত্যি তা ভুলার নয়।গাঁথা রয়েছে হদয়-নৈবেদ্যে। কুয়াশাছন্ন সকাল, আর পড়ন্ত বিকেলে গোধূলি বেলার অপরূপ নৈসর্গিক চিত্র সত্যি মন রাঙিয়ে তোলে।এই প্রবাসে আজ নিবিড় নিরবতায় কেবল সে’সবই ভাবছি আর স্মৃতিচারণ করছি । তাই কথার মালা কুঁড়িয়ে ভাষার তাজমহল গেঁথে দু’কলম লিখার একান্ত ইচ্ছে থাকা সত্যেও এই প্রবাস জীবনে সময় হয়ে উঠে না। তাইতো আবারও মনে পড়ে যায় সেই রূপসী বাংলার কবি ---- জীবনানন্দ দাশের কবিতা-
হয়তো মানুষ নয়- হয়তো বা শংখচিল শালিখের বেশে,হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিকের নবান্নের দেশে
কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব এ কাঁঠাল ছায়ায়।
ডাঃফজলুর রহমান
সৌদি আরব।
Email: frahmanapple@yahoo.com
Twitter: Fazlur Rahman@Frahmantwittman
সৌদি আরব।
Email: frahmanapple@yahoo.com
Twitter: Fazlur Rahman@Frahmantwittman
Awesome. ..🖒🖒🖒🖒
ReplyDelete