Thursday, April 27, 2017

Shamsul Islam Khan Naya Miah,Ex.Industries Minister, Parliament of Bangladesh শামসুল ইসলাম খান নয়া মিয়া, সাবেক শিল্পমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ।

জনাব শামসুল ইসলাম খান(নয়া মিয়া) একজন বিচক্ষণ-নিষ্ঠবান- দক্ষ-দূরদৃষ্টিসম্পন্ন সফল রাজনীতিবিদ তিনি ছিলেন দেশ বরেণ্য শিল্পপতি এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ীও বটে শামসুল ইসলাম খান(নয়া মিয়া) ১৯৩০ সালের ১লা জানুয়ারী জন্ম গ্রহণ করেন তিনি ১৯৯১ সালে ২৭শে ফেব্রুয়ারি পঞ্চম, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী ষষ্ঠ এবং সপ্তম জুন ১২, এবং ২০০১ সালের আক্টোবর ১, অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট চারবার নির্বাচিত সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি  মানিকগঞ্জ-৪ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। জনাব শামসুল ইসলাম খান ২০-০৩-৯১ থেকে ১২-০৯-৯৩  পযর্ন্ত আড়াই বছর মাননীয় মন্ত্রী ছিলেন(শিল্প মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ) মানিকগঞ্জ জেলায় উন্নয়নে যারা অবদান রেখেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন শামসুল ইসলাম খানমানিকগঞ্জ এবং সিঙ্গাইর উপজেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থায় তিনি বৈপ্লবি পরিবর্তন এনেছেন। অন্য কেউ পারতেন কিনা জানিনা।তবে  জনাব নয়া সাহেবের কারণে কাজগুলি দ্রুত হয়েছে একথা এক বাক্যে স্বীকার করতে হবে। তিনি সিঙ্গাইরের সকল দলেরই মুরুব্বি ছিলেন। তাঁকে সবাই মানতেন।
জনাব শামসুল ইসলাম খান সাহেব প্রথম জীবনে সকল দলকে সাহায্য সহযোগিতা করতেন। আওয়ামী লীগের সাথেও তার ভাল সুসম্পর্ক ছিল। তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রধান প্রিষ্ঠপোষক ও সভাপতি ছিলেন। শামসুল ইসলাম খান ১৯৪৯ সালে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী মুসলিম লীগে যোগদান করেন। ১৯৮২ সালে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে যোগ দেন। জনাব খান সাহেবের  দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মাওলানা ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান, জিয়াউর রহমান সহ প্রবীণ নেতাদের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।তিনি স্বচ্ছ ধারার রাজনীতি বিশ্বাসী করতেন।

শামসুল ইসলাম খান নয়া মিয়া নিরবে কাজ  করতে ভালবাসতেন। তিনি নাম চাননি, কাজ কাজ চেয়েছেন। কথা কম কাজ বেশী তাঁর স্টাইল ছিল। ধলেশ্বরী নদীতে  শহীদ রফিক সেতু নির্মাণে জনাব শামসুল ইসলাম খানের যে  ভূমিকা  ছিল তা বলার অপেক্ষা রাখে না। মানিকগঞ্জের কোন নেতার দ্বারাই এই সেতু নির্মাণ সম্ভব ছিল না। কিন্তু নয়া মিয়া সাহেব সে ব্রিজ নির্মাণ করে দেখিয়েছেন। আর গ্রামের আনাচে কানাচে বিদ্যুৎ  দেয়া এটাও ছিল মন্ত্রী সাহেবের এক বড় অবদান হয়তো বিদ্যুৎ আসতো কত বছর চলে যেত হিসেব নেই।জনাব খান সাহেবের কারণে বিদ্যুৎ দ্রুত এসেছে। দুর্নীতিকে এবং সন্ত্রাসকে তিনি কখনও পাত্তা দেননি।
১৯৮৮ সালে সারাদেশে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে সে সময় জনাব শামসুল ইসলাম খানের ছোট ছেলে হাফিজুল ইসলাম উট্টু সিঙ্গাইর থানায় রিলিফ বিলি করতে এসে নৌকা ডুবিতে মারা যায়।
জনাব শামসুল ইসলাম খানের মেজ পুত্র জনাব ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত বর্তমান মানিকগঞ্জ  জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা।
জনাব শামসুল ইসলাম খান নয়া মিয়া গত ২০০৪ সালের ২২শে জানুয়ারি  এই মহান ব্যক্তি ইন্তেকাল করেন


ফজলুর রহমান, সৌদি আরব।
Cell Phone:00966534580722
Email: frahmanapple@yahoo.com
E: rahmanmedical.hall89@yahoo.com

Twitter:@Frahmantwittman

No comments:

Post a Comment