আজকাল আমাদের দেশে একটা রেওয়াজ চালু হয়ে গেছে মেয়ে সন্তান
জন্ম নিলে স্বামী খুশী না, সর্দারনী শাশুরী খুশী না, সবাই নারাজ যে কেন ছেলে জন্ম হল না। মেয়ে কেন?। বদমায়েশী আর কি।মেয়ে নাকি কু-লক্ষন? অসভ্য লোকের বাণী এসব। আমাদের দেশে এমনও ঘটনা ঘটেছে যে,
বধূকে মেয়ে সন্তান জন্মের অপরাধে ডিভোর্স নিতে হয়েছে। অনেক মায়েদেরও
একটা বদ অভ্যাস আছে ভাল খাবারটা তার পুত্রধনকে দিবেন।মেয়েকে দিবেন নিম্ন মানের টা। এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। মেয়ে চলে যাবে একদিন পরে ঘরে তাকে বেশী বেশী ভাল জিনিষটা
খেতে দেয়া উচিৎ।মেয়ে সন্তানকে একটু
বেশী বেশী খাওয়াবেন।তাকে অবহেলা না করে
একটু বেশী আদর দিবেন। তাকে যত্ন নিন। ভালবাসা দিন বেশী বেশী।কন্যা সন্তান
মহান আল্লাহ্র এক বিশেষ শ্রেষ্ঠ নেয়ামত
বাপ-মায়ের জন্য। কণ্যা কল্যানকর। কণ্যা মঙ্গলের ইঙ্গিত। ছেলে সন্তানের প্রত্যাশায় মেয়ে যেন অবহেলার পাত্র না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল
রাখতে হবে। ছেলে সন্তানও অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ,
কিন্তু তার মানে এই নয় মেয়ে সন্তান বাদ দিয়ে।ছেলে-মেয়ে উভয়কেই সমান অধিকার দিতে
হবে। প্রশ্ন উঠে সেখানে যখন ছেলের আশায় মেয়েকে তুচ্ছ করা হয়। এ ধরনের মন মানসিকতা থাকা
মোটেই ঠিক নয়। ইসলামের দৃষ্টিতেও এটা হারাম।অনেক ফ্যামিলিতে দেখা যায় বাসায় খাবার
টেবিলে বড় মাছের মাথাটা ছেলেকে দেয়ার
চেষ্টা করা হয় বা দেয়।মেয়েকে নয়। কেন মেয়েকে ছোট করে দেখা হয়? সারা বিশ্বে আজ নারীরা নেতৃত্ব
দিচ্ছে।হিলারি ক্লিনটন আজ কোথায়? সে কি নারী নয়? জার্মানির চ্যান্সেলর
এঞ্জেলা মারকেল, ব্রিটিস প্রধানমন্ত্রী মাগারেট থ্যাচার,
ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বেনজীর ভুট্টো, মায়ানমারের
নোবেল জয়ী অং সান সু চি
থেকে শুরু
করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী “শেখ হাসিনা” আজ একজন নারী। বাংলাদেশের
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া একজন মহিলা।বাংলাদেশের সংসদে বিরোধী
দলের প্রধান রওশন এরশাদ একজন নারী। জাতীয় সংসদের স্পীকার ড:শিরীন শারমীন চৌধুরী একজন নারী। এছড়াও
জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন নারীদের জন্য সংরক্ষিতকরা হয়েছে। বর্তমানে আরও নারী আসন বাড়ানোর পরিকল্পনা চলছে।
আরও মজার তথ্য হচ্ছে,
বিশ্বের
প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন শ্রীলঙ্কার “সিরিমাভো
বন্দরনায়েকে”(২১ শে জুলাই- ১৯৬০) যিনি একজন নারী এবং শ্রীলঙ্কার চতুর্থ রাষ্ট্রপতি চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা এবং সাবেক স্পীকার ও মন্ত্রী অনুঢ়া বন্দরনায়েকে “সিরিমাভো
বন্দরনায়েকে"- রই কন্যা। তাহলে নারী আজ এত উচচ
আসনে থাকার পরও কেন তাদের অবহেলার চোখে দেখা হয়???? আমি ইসলামের বিশেষজ্ঞ নই, মুফতিও নই,
যারা আল্লাহ্র আলেম তাঁরা বলেন যে, ---- "যার কন্যা জন্ম গ্রহণ করল, সে কন্যাকে
কষ্ট না দিয়ে তার উপর অসন্তুষ্ট না হয়ে এবং ছেলেকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে
ঐ কণ্যার কারণে আল্লাহ পাক তাকে জান্নাত
দান করবেন"। এছাড়া অনেক অনেক হাদিস রয়েছে কন্যা সন্তানের ব্যাপারে।আর শেষ কথা হচ্ছে
একজন কণ্যা সন্তানের জন্যই তো আজ আপনি –আমি জন্ম নিয়েছি। কণ্যা/নারী তো মায়ের জাত। সন্তান
জন্ম দেয়ার ক্ষমতা আল্লাহপাক একমাত্র নারীকেই
দিয়েছেন।পুরুষকে দেননি। তাহলে নারীকে খাটো করে দেখার অর্থ মূল্যহীন
নয় কি? কাজেই কন্যা সন্তানকে অবহেলা করবেন
না। কণ্যা কল্যাণকর। কণ্যা মঙ্গলময়।
ফজলুর রহমান
সৌদি আরব
৬/১১/২০১৬
Fazlur Rahman
+966534580722, +966562998047
Email:frahmanapple@yahoo.com
Twitter:@Frahmantwittman
Skype:frahman67- www.fazlupedia.blogspot.com
+966534580722, +966562998047
Email:frahmanapple@yahoo.com
Twitter:@Frahmantwittman
Skype:frahman67- www.fazlupedia.blogspot.com
No comments:
Post a Comment