ইয়াসির আরাফাত ছিলেন একজন
ফিলিস্তিনী নেতা। বিশ্বে বড়
বড় মহান নেতার মধ্যে ইয়াসির আরাফাত একজন অন্যতম নেতা। শুধু ফিলিস্তিন নয়, সমগ্র
বিশ্বের নিপীড়িত মানুষের মুক্তির
প্রতীক তিনি। আরাফাত ২৪ আগষ্ট-১৯২৯ সালে
জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ইজিপ্টের রাজধানী কায়রোর ইউনিভার্সিটি অব কিং
ফুয়াদ ওয়ানে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১৯৫০ সালে
গ্রাজুয়েট ডিগ্রী লাভ করেন। আরাফাত প্যালেস্টাইন
লিবারেশন অগানাইজেশন এর চেয়ারম্যান।ফিলিস্তিনী জনগণ আরাফাতকে বীর মুক্তিযোদ্ধা।এবং ফিলিস্তিনীদের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রতীক হিসাবে
সম্মান করেন।
১৯৯১ সালের মাদ্রিদ
সম্মেলন,১৯৯৩
সালের অসলো চুক্তি এবং ২০০০ সালের ক্যাম্প ডেভিড সম্মেলন এর মাধ্যমে আরাফাত
ইসরাইলীদের সাথে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটানোর প্রয়াস নেন। ইসরাইলীদের সাথে
এই সমঝোতা স্থাপনের জন্য আরাফাতের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তাঁর নতজানু নীতির তীব্র
নিন্দা করে। ১৯৯৪ সালে আরাফাত ইজহাক রাবিন ও শিমন
পেরেজ এর সাথে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু একই
সময়ে হামাস ও অন্যান্য জঙ্গীবাদী
সংগঠনের উত্থান ঘটে, যারা
ফাতাহ ও আরাফাতের ক্ষমতার ভিত্তি দুর্বল করে দিয়ে ফিলিস্তিনের বিভিন্ন এলাকায়
রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করে নেয়।২০০২ হতে ২০০৪ সালের শেষভাগ
পর্যন্ত আরাফাত ইস্রাইলী সেনাবাহিনীর হাতে তাঁর
রামাল্লার দপ্তরে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে থাকেন। ২০০৪ এর শেষদিকে আরাফাত অসুস্থ হয়ে
পড়েন।এই মহান নেতা ২০০৪
সালের ১১ নভেম্বর প্যারিসে চিকিৎসারত
অবস্থায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অসুস্থতা ও মৃত্যুর কারণ সুনির্দিষ্টভাবে প্রকাশ পায়নি। যদিও চিকিৎসকদের মতে তিনি “ইডিওপ্যাথিক
থ্রম্বোসাইটোপেনিক” (Idiopathic Thrombocytopenic) পারপুরা এবং “সিরোসিসে” ভুগছিলেন।কিন্তু রাশিয়ার ফরেন্সিক তদন্ত দল ও সুইজারল্যান্ডের একটি
চিকিৎসা গবেষণালয় ঘোষণা বলেছে প্রেসিডেন্ট আরাফাতকে উচ্চ
মাত্রার তেজস্ক্রিয় পোলোনিয়াম প্রয়োগের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে।
ফজলুর রহমান
ফজলুর রহমান
সৌদি আরাবিয়া
১১/১১/২০১৬
Fazlur Rahman
Mob:+966534580722|+966562998047
Email:frahmanapple@yahoo.com|
Twitter:@Frahmantwittman|
www.fazlupedia.blogspot.com|Skype:frahman67
No comments:
Post a Comment