Thursday, May 25, 2017

Baking Mango (আম কুড়ানো)

ঝড়ের দিনে মামার বাড়ী
আম কুড়াতে সুখ,
পাকা জামের মধুর রসে
রঙিন করি মুখ
      ---- জসীম উদ্দিনের
পল্লিকবি জসীম উদ্দিন চমৎকার করে ফুটিয়ে তুলেছেন আম কুড়ানোর গল্প তার লেখার মাঝে। প্রাইমারী স্কুলে কে না পড়ছে এ কবিতাটি। আম কুড়ানো শৈশবের এক মজার স্মৃতি। সবার জীবনেই এ ঘটনা ঘটেছে কম বেশী। ছেলে বেলার স্মৃতি গুলি  বড়ই মনোরম মনে হয়। অনেক কথাই আজ  ভুলে বসেছি। তারপরও কিছু কথা বলার সাধ জাগে, স্মৃতিচারণ করতে ভাল লাগে। কারণ ছোট বেলা সবারই ভীষণ এক দুরন্ত সময়। সব কিছুই তখন নতুন নতুন ভাব। সব কিছু খেতে ভাল লাগে। মুখে রুচি থাকে যথেষ্ট ভাল আর খারাপ যাই হোক সবই খেতে ভাল লাগে। সেই সময় কে শুনে বাপ-মায়ের কথা। আম কুড়াতে চলে গেছি কত জায়গায় জঙ্গলের গভীরে গিয়েও আম কুড়িয়েছি আমার নানা বাড়ীর পাশে তারা ভাইয়ের আমগাছ ছিল অনেক বড় বড় ফজলি আমের গাছ ছিল বেশ কয়েকটি ঝরের দিনে সেই বাড়ীতে যেতাম আম কুড়াতেবেতের ঝুর ছিল বিরাট তার নিচে চলে যেতাম আম কুড়াতেআমার নানীর একটি কাঠের আলমারী ছিল আম কুড়িয়ে সেই আল্মারীতে  ভরে ফেলতামআরও কত বাড়ীতে যেতাম আমার জন্য ছোট বেলার এ কাহিনী গুলি মনে হলে খুব ভাল লাগে। কাঁচা আম চাকু দিয়ে কেটে লবন-লঙ্কা মেখে  একসাথে বন্ধুদের নিয়ে খাওয়া সেকি আর ভুলবার বিষয়? নিজের বাড়ীর না হোক মহল্লায় তো আর আম গাছের কমতি নেই। সবার বাড়ীতে দুএকটি আম গাছ থাকা তো মামুলি ব্যাপার। ব্যাস... মার ঢিল, নয়তো গাছ বেয়ে বেয়ে মগ ডালে গিয়ে পেরে নিয়ে আসতাম আম। এদিকে বাড়ীওয়ালার সাথে বিড়ি-সিগারেট দিয়ে ভাব জমাতাম সেই ফাঁকে আম চুরি চলতে থাকতো। এসব আজ কল্প কাহিনী মনে হলেও  এক সময়ে ছিল রিয়ালিটি। খুবই মজাদার কাহিনী।  ছাত্র জীবনে বন্ধুদের নিয়ে কত কিছুইতো করেছি। শুধু আম কেন ডাব কি কম পান হয়েছে? নারিকেল বৃক্ষে রশি বেঁধে নামিয়ে দেয়া হত একেবারে নিচে। আর ডাবেরা এসে যেত হাতের মুঠে। হা হা হা। ডাব চুরির সেই সব দিন আজ কোথায়!!! সবার শৈশবেই একটু আধটু এসব হয়ে থাকে। ডোন্ট বি  মোর অনেস্টআমরা কেউ ফেরেশতা নই।


সবশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত বিদায়।


No comments:

Post a Comment