মেলা সামাজিক আনন্দ-বিনোদন ও ধর্মীয় উৎসবের কারণে একটি স্থানে অনেক মানুষ একত্রিত হয় । মেলা বিভিন্ন রকমের হতে পারে । মেলার সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্টীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির যোগাযোগ থাকে । বাংলার এই সংস্কৃতিতে থাকে সব ধর্মের মানুষের সংস্কৃতির সমন্বয় । মেলাকে ঘিরে গ্রামীণ জীবনে আসে প্রানচাঞ্চল্য। আশে পাশের ২০/৩০ গ্রামের লোকজন মেলায় সমাগম ঘটে।
মানিক্গঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলায় সাহরাইল সিদ্ধাবাড়ী মেলা-২০১৭ একটি পুরাতন মেলা। এটি শায়েস্তা ইউনিয়নের সাহরাইল বাজারে পাশে মিলে থাকে। স্থানীয় সিদ্ধার্থীরা মেলার আয়োজন করে থাকে। এ মেলাটি ৩০০ থেকে ৪০০ বছর যাবৎ উদযাপিত হয়ে আসছে বলে ধারণা করা হয়ে থাকে। জ্যৈষ্ঠ মাসে মেলাটি শুরু হয় এবং পনের দিন থেকে এক মাস ব্যাপী মেলাটি চলে। এই মেলায় প্রধান আকর্ষণ সার্কাস, পুতুল নাচ, এবং নাগরদোলা। যাত্রা গানেরও আয়োজন করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী মেলায় বেচা-বিক্রী হয়। রাঁধুনীর মসলার কাঁচামাল ধনিয়া,শুয়াজ, জৈন, তরিতরকারী কাটাকাটির দা-বটি,বাচ্চাদের খেলনা সামগ্রী, বেতের তৈরী ধামা-কাঠা এখানে পাওয়া যায়। বেদে বহরের চমৎকার আয়োজন মেলাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। মহিলাদের ভীড়ে লাল,নীল শাড়ির ছোঁয়ায় বেদে বহরের অলি গলি রঙিন হয়ে উঠে। মিষ্টির দোকান গুলোও থাকে লোকজনে ভরপূর। রসগোল্লা, চমচম, কালো জাম, মোহনভোগ সহ বাহারি জিলেপীও মিষ্টির দোকানের গলি থাকে পরিপূর্ণ। সেই সাথে মৌমাছিদের সরব আনাগোনা আর ভন ভন শব্দ তরঙ্গ মেলাকে ভিন্ন এক মাত্রার যোগান দেয়। গ্রামীণ মৃৎশিল্প ও কারুপণ্যের বিক্রীও মেলার আরেক আকর্ষণ। সবচেয়ে মজার দৃশ্য সাধু-সন্যাসিদের এরিয়া। বিভিন্ন
বয়ষ্ক সাধুদের সাথে ক্ষুদে সাধুদের সমাগম হয় সাহরাইল মেলায়।
বয়ষ্ক সাধুদের সাথে ক্ষুদে সাধুদের সমাগম হয় সাহরাইল মেলায়।
সব মিলে সাহরাইল মেলা-২০১৭ এবার বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। সবাই আনন্দঘন মূর্হুতে কাটাবে, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মেলায় যাবে,রাস্তায় থাকবে বাইসাইকেল,মোটর সাইকেল, রিকশা-অটোর দৌড়াদৌড়ি। এমন দৃশ্য সত্যি মনকে দোলা দেয়। এই প্রবাস জীবনে একবার হলেও এক পলক তাকাতে ইচ্ছে জাগে গ্রামীণ মেলার দিকে। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে শেষ করছি। ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment