Friday, May 26, 2017

Ramadan Mobarak -2017(মোবারক হো পবিত্র মাহে রমজান)

আজ ২৭/৫/২০১৭ রমজানের প্রথম দিন। সৌদি আরব সহ আরব বিশ্বের সকল দেশে আজ থেকে মাহে রমজান শুরু হয়েছে। আরবি শব্দ রামাদ্বান থেকে এসেছে রমজান বা রামাদান। রমজান ইসলামি পঞ্জিকা হিসেবে নবম মাস। এ মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিমগণ ইসলামিক উপবাস সওম পালন করে থাকেন। রমজান মাসে রোজাপালন ইসলামের পঞ্চস্তম্ভের মধ্যে তৃতীয়তম। রমজান মাস চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে ২৯ অথবা ত্রিশ দিনে হয়ে থাকে যা নির্ভরযোগ্য হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। বাংলাদেশ সহ ভারত উপমহাদেশের এটা দেশে “রোজা” নামে পরিচিত। রমজান মাসের ফজিলতের মাধ্যমে তামাম পৃথিবীর মুসলিম সম্প্রদায় মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করে থাকেন। রজানের প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাত ও তিৃতীয় অংশ হল নাজাতের। রহমত, মাগফিরাত এবং মুক্তির পয়গাম নিয়ে আমাদের মুসলিম উম্মাহর সামনে হাজির হয় পবিত্র মাস মাহে রমজান। রমজান মানুষের পশুত্বকে খতম করে জাগ্রত করে মনুষ্যত্বকে।
রোজা ফরজ হয় এই রমজান মাসেই। রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস এই রমজান। এই মাসে জান্নাতের সকল দরজা খুলে দেওয়া হয়। আর জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। শুধু মাত্র রমজানের জন্য বাকী এগারো মাস জান্নাতকে সাজানো হয়ে থাকে। এই মাসে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পথভ্রষ্ঠ শয়তানকে বেঁধে রাখেন, যাতে সে মুমিনদের কোন ক্ষতি করতে না পারে। এ মাসের একটি ফরজ আদায় অন্য মাসের ৭০টি ফরজ আদায়ের সমান। আর একটি নফল অন্য মাসের একটি ফরজের সমান। এই মাসে যে কোন দান-সদকা, ভাল কাজের প্রতিফল আল্লাহপাক ৭০গুন করে দিয়ে থাকেন। যা অন্য মাসে মাত্র ১০গুন। জান্নাতের একটি দরজার নাম রাইয়ান। রোযাদারকে ঐ দরজা দিয়েই ডাকা হবে। যে রোজাদারগণ এ দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে সে কখনও পিপাসিত হবে না।
রোজা বুকের ভেতরকার জটিলতা এবং পেরেশানিগুলো দূর করে দেয়। দেহ ও আত্মার ওপর শান্তির প্রভাব ফেলে, এটিও রোজার অন্যতম একটি ফজিলত।
আসলে রমজানের এ বাহ্যিক উপকারিতার কথা আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান বেশ কিছুকাল পূর্বেই প্রমাণ করেছে। আল্লাহ পাক আমাদের জন্য এ বিধানটি দিয়েছেন ফলে এতে অবশ্যই কল্যাণ নিহিত রয়েছে।
আর একটি বিষয় হচ্ছে রমজান এলেই শুধু কোরআনের মাহাত্ম্য বা মর্যাদা বেড়ে যায়। বাকি মাসগুলো গুরুত্ব দেই না। রমজানে আমরা নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করে থাকি, রমজান বিদায় নিলে আবার খারাপ কাজে ঢুকে পড়ি যা মোটেও সঠিক নয়।
পরিশেষে সবাই আমরা রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে চলি এবং একমাস রোজা পালন করি সেই সাথে রমজানের পরেও আমরা সবাই যেন ইবাদত-বন্দিগির করি সেদিকেও আমাদের মনোযোগ দেয়া জরুরী। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করুক। আমিন।

No comments:

Post a Comment